Logo
সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কৌশলে চুরি যাওয়া

নড়াইলে ৩৯টি ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার, গ্রেফতার ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক,

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ, ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম
নড়াইলে ৩৯টি ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার, গ্রেফতার ৬





নড়াইল সদর ও লোহাগড়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কৌশলে চুরি যাওয়া ৩৯টি ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে নড়াইল জেলা পুলিশ। এ  সময়  চুরির সাথে জড়িত অভিযোগে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গ্রহন করা হয়েছে আইনগত ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১টায় নড়াইলের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্সরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা খাতুন।
 এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: দোলন মিয়া ও জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুল ইসলাম,সদও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবাইদুল রহমান এবং নড়াইল ও লোহাগড়ার কর্মরত গণমাধ্যাম কমীর্রা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নস্থ বিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ল্যাব থেকে গত ২৮ জানুয়ারী রাতে জানালার গ্রিল কেটে অজ্ঞাত চোরের দল সরকারের আইসিটি বিভাগ থেকে পাওয়া ১৭টি ওয়ালটন ল্যাপটপ, ল্যাপটপের ১৫টি চার্জার চুরি হয়। চুরি যাওয়া এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য ১২ লক্ষ  ৬৬ হাজার ৫ শত টাকা। চুরির দুই দিন পরওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং—২০, তারিখ ৩০/০১/২০২৩ ইং। এরপর নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের ১২৬ নং মালিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অজ্ঞাত চোরের দল গত ১৬ মার্চ রাতে ১টি লিনোভো ল্যাপটপ, একটি হিটাচি প্রজেক্টর, একটি এইচ পি লেজার প্রিন্টার, ২টি সাউন্ড বক্স, একটি এইচ পি লেজার প্রিন্ট সেন্সর ও ১২ট বিআরবি কোম্পানির সিলিং ফ্যান চুরি হয়। চুরি যাওয়া মালামালের আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলেখা রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় অপর একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। মামলা নং— ১৭, তাং— ১৭/০৩/২০২৩ ইং। উল্লেখিত দুটি চুরির ঘটনার সুরাহা হতে না হতেই ১২৭ নং চাকই পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে গত ১৭ মার্চ অজ্ঞাত চোরের দল একটি ওয়ালটন ল্যাপট, একটি লিনোভো ল্যাপটপ, একটি প্রজেক্টর ম্যাশিন ও নগদ ১০ হাজার টাকা চুরি হয়। এ সব চুরি যাওয়া মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা। অনুরূপ ভাবে নড়াইল সদর থানার হবখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরী সহ দুটি শ্রেনি কক্ষের তালা ভেঙ্গে চোরেরা১২টি বিআরবি কোম্পানির ফ্যান চুরি করে নিয়ে যায়।
উল্লেখিত চুরির ঘটনার পর নড়াইলের পুলিশ সুপার মোছা: সাদিরা খাতুনের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: দোলন মিয়া, জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট চুরির ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তাবৃন্দ সহ জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল (সিসিআইসি) ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি পুলিশ) তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসেদপুর উপজেলার বাটিকাবাড়ী গ্রামের তৈয়ব আলী শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০), তার সহযোগি একই উপজেলার টেংরাখোলা গ্রামের সোহাগ সরদারের ছেলে রিজু সরদার (২০) কে সনাক্তপূর্বক নড়াইলের ভওয়াখালি গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গোপালগঞ্জ জেলার ধোপাকান্দা গ্রামের মতি মোল্যার ছেলে সোবহান মোল্যা (৩৮), একই জেলার কাশিয়ানী উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মজিবর রহমান মোল্যার ছেলে মতিউর রহমান রাসেল (৩৫), একই জেলারমুকসেদপুর উপজেলার উজানিয়া গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার ছেলে আরমান মোল্যা (২০) এবং মাগুরা জেলার সদর থানার বাটাজোড় গ্রামের শিব দাসের ছেলে নেপাল দাসকে (৩১) গ্রেপ্তার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চুরি যাওয়া ৩৯টি ল্যাপটপ, ১৭ টি চার্জার, ৭২ টি সিলিং ফ্যান, ৪ টি প্রজেক্টর, ৩ টি প্রিন্টার, ১ টি স্ক্যানার, ১৬ টি মিনি সাউন্ড বক্স, ২ টি কম্পিউটার বক্স, ৩ টি কী—বোর্ড, ২ টি মাউস এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত ১ টি সেলাই রেঞ্জ, ২ টি প্লাস, ৩ টি স্ক্রু ড্রাইভার, ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং নগদ ৮১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।