মোটরসাইকেল নিয়ে করসত (স্টান্ডবাজি) প্রদর্শন করতে গিয়ে রাকেশ গাইন আকাশ (২১) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার মধুমতি সেতুতে (কালনা সেতুতে) এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের অপর দুই বন্ধুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং আহত পথচারীকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রাকেশ গাইন আকাশ নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের বাঁশভিটা গ্রামের কার্তিক গাইনের ছেলে। তিনি নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের সম্মান ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আহতরা হলেন— একই গ্রামের আকাশের আপন চাচাতো ভাই ও শ্যামল গাইনের ছেলে সজল গাইন (২০) ও হরিচান বিশ্বাসের ছেলে প্রিতম বিশ্বাস (২০) এবং পথচারী তমাল (২৫) লোহাগড়া উপজেলার আড়িয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, একটি মোটরসাইকেল যোগে তিন বন্ধু মধুমতি সেতুর গোপালগঞ্জ প্রান্ত থেকে দ্রুতগতিতে নড়াইল প্রান্তের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিয়ন্ত্রণহীন গতির পাশাপাশি বাউলি (স্টান্ট) প্রদর্শন করছিলেন। মুহুর্তের মধ্যেই মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর মাঝ বরাবর পেঁৗছালে পথচারী তমালকে সজোরে আঘাত করে ছিটকে পড়ে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মারুফা তাসনিম বলেন, আহতদের মধ্যে রাকেশ গাইন আকাশ হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। সজল, প্রিতম ও তমালের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রিতমের বোন পূজা বিশ্বাস বলেন, আমাদের একই এলাকার তিন বন্ধু ও ভাই বাড়ি থেকে সন্ধ্যার দিকে লোহাগড়া ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। পরে সাড়ে ৭টার দিক লোহাগড়া থানা থেকে ফোন আসে আমার ভাই সহ চারজন এক্সিডেন্ট করে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান শরিফুল ইসলাম বলেন, কালনা সেতুর ওপর সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বন্ধুর মধ্যে মোটরসাইকেল চালক রাকেশ গাইন আকাশ নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজন ও পথচারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।