Logo
সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩

উচ্চ শিক্ষিত প্রতিবন্ধী যুবকের কর্মসংস্থানকল্পে কম্পিউটার দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১ জুন, ২০২৩, ০১:৩৫ এএম
উচ্চ শিক্ষিত প্রতিবন্ধী যুবকের কর্মসংস্থানকল্পে কম্পিউটার দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান





পাইকগাছার এক ইউপি চেয়ারম্যান উচ্চ শিক্ষিত প্রতিবন্ধী যুবকের কর্মসংস্থানকল্পে ও স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কম্পিউটার প্রদান করেছেন। তিনি হলেন পাইকগাছার কাগজী প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ট্রাষ্ট ও পাইকগাছা উপজেলা প্রতিবন্ধী অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা, লস্কর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মানবতার ফেরীওয়ালা কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন।

তিনি আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের হত দরিদ্র পরিবারের খায়রুল ইসলামেকে এ সব সামগ্রী কিনে দেন। খায়রুল ইসলাম তিনি ডাবল এমএ ফাস্ট ক্লাস পাশ এবং যুব উন্নয়ন থেকে কম্পিউটারে প্রশিক্ষণ নিয়েও জীবন- জীবিকার তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তি করে বেড়াচ্ছিল। তিনি পাইকগাছা উপজেলা লস্কর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিনের নিকট এসে সংসারে অভাব অনটন ও জীবন সংগ্রামে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও তার পড়াশুনার কথা জানান। বলেন বেকারত্বের কথা। চেয়ারম্যান তুহিন ওই প্রতিবন্ধীর কথা শুনে আশ্বাস্ত করেন। গতকাল শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিবন্ধী খায়রুল কে স্বাবলম্বী করতে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক একটি কম্পিউটার, এলইডি মনিটর, টেবিল সহ ৪৭ হাজার টাকার মালামাল কিনে দেন।
পাশাপাশি শিক্ষিত এই যুবককে মানসিকভাবে উজ্জীবিত করতে চেয়ারম্যান কাগজী প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ট্রাষ্টের মডেল ভিলেজ পাইকগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মন্ডল কে সাথে নেন। কেননা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল নিজে একজন প্রতিবন্ধী এবং তিনি সুশিক্ষিত হয়ে জীবনের সাথে সংগ্রাম করে একটি সরকারি চাকরি পেয়েছেন। খায়রুল ইসলাম কম্পিউটার, এলইডি মনিটর পেয়ে আবেগ আপ্লম্নত হয়ে চেয়ারম্যানের আশীর্বাদ করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, এ প্রতিবেদক কে বলেন, "নবীর শিক্ষা করোনা ভিক্ষা মেহনত করো সবে" এই মহান বানীকে সামনে রেখে প্রতিবন্ধী অসহায়দের পাশে থাকার চেষ্টা করছি মাত্র। প্রতিবন্ধীরা প্রতিভাবন্ধী নয়। তাদেরকে উপযুক্ত শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করতে পারলে তাদেরকে দেশের  সম্পদ হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, আমার এ সামান্য অনুদানে যদি একজন প্রতিবন্ধী কর্মসংস্থান খুঁজে নিতে পারে এটাই আমার সার্থকতা। এ প্রতিবন্ধী কয়েক জায়গায় চাকরীর পরিক্ষা দিয়েছেন দুই জায়গায় লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সামনে মৌখিক পরিক্ষা যাতে তিনি চাকরিটা পেতে পারে সে কারণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন যাতে প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরিটা পেয়ে হত দরিদ্র ঔ পরিবারকে  বাঁচাতে পারে। এ সময় প্রতিবন্ধী অভিভাবক ফোরাম, ব্রততী রায় শিশু ও প্রতিবন্ধী ট্রাষ্টের সভাপতি, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা প্রজিৎ কুমার রায়,  সহকারী শিক্ষক প্রতিবন্ধী সুভাষ চন্দ্র মন্ডল, সাংবাদিক এস এম বাবুল আক্তার, আশাশুনি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান, পৌর কৃষক লীগের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় সরদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তেজেন মন্ডল, সতীন্দ্র নাথ সরকার, সালামুন হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাসুদেব কুমার দাস, প্রশান্ত মন্ডল ও দিনারুল ইসলাম সানা সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।